Tuesday, July 21, 2020

অক্সফোর্ড আর ক্যানসাইনো - দুই ভ্যাকসিনের গল্প 

এপ্রিল মাসে দেখা সেই ছবিটা মনে আছে? অক্সফোর্ডের গবেষণাগারে তরুণ বিজ্ঞানী ডঃ এলিসা গ্রান্টও-কে  পরীক্ষামূলক টিকা দেবার সেই ফটো ? সেদিন সবার মুখে  এলিসার প্রশংসা। তবে তিনি প্রথম হলেও একা ছিলেন না; গতকাল এলিসা ও আরো ১০০০র বেশি ভলান্টিয়ারের সাহায্য নিয়ে করা গবেষণার ফল প্রকাশিত হল । 

  • Astrazeneca কোম্পানির সঙ্গে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়'র উদোগ্যে তৈরী কোরোনাভাইরাস-বিরোধী ChAdOx1 nCoV-2019 ভ্যাকসিন  বেশ কিছুটা সাফল্য পেল।তাঁদের phase 1/2 পরীক্ষা সফল -   বিখ্যাত আন্তর্জাতিক জার্নাল ল্যানসেটে বিজ্ঞানীরা এমনই জানিয়েছেন। 
অক্সফোর্ড টিকার গবেষণাপত্রের প্রথম পাতার স্ক্রিনশট 
  • পশ্চিম জগতের বেশি প্রচার এবং আমাদের স্বাভাবিক সাহেব-প্রীতি'র জন্যেই সম্ভবত অক্সফোর্ড টিকা নিয়ে এত বেশি কথাবার্তা হচ্ছে মিডিয়ায়। কিন্তু পাবলিক কি খাবে আর কি না খেতে পারে, trp বাড়বে কি বাড়বে না তা নিয়ে তো বিজ্ঞান চলে না।তাই একই দিনে একই জার্নালে প্রকাশিত একই ধরনের আরেকটি গবেষণাপত্রের কথা বলতেই হয়।  চীনা কোম্পানি Cansino Biologics এবং চীনের একাডেমি অফ মিলিটারি সায়েন্স র উদোগ্যে তৈরী পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিনের phase 2র কাজ হয়েছে  উহান প্রদেশে ; তার সাফল্যের কথা ও জানা গেল।
ক্যানসাইনো টিকার গবেষণাপত্রের প্রথম পাতার স্ক্রিনশট
  • দুই গবেষণার মূল লক্ষ্য দুটি - এক, পরীক্ষামূলক টিকা কি শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে নতুন কোরোনাভাইরাসকে আক্রমণ করতে সাহায্য করছে? দুই, টিকা ইনজেক্ট করার পরে কোন গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে কি? 
টিকা কি দিয়ে তৈরী?
  •  সাধারণত, টিকা তৈরী হয় নির্জীব জীবাণু বা জীবাণুর কোন বিশেষ প্রোটিন দিয়ে। আজ অবধি বাজারে আসা সব টিকা তাই হয়ে এসেছে। মলিকিউলার বায়োলজির যুগে সেই প্রচলিত চিন্তা ভাবনা কিছুটা পাল্টে গেছে। অক্সফোর্ড ও ক্যানসাইনো দুই  টিকা এডিনোভাইরাস নামের একটি ভাইরাস দিয়ে তৈরী। এই বিশেষ এডিনোভাইরাস আদতে শিম্পাঞ্জিদের দেহে অসুখ করায়। কিন্তু, টিকা বানাতে বিজ্ঞানীরা এই এডিনোভাইরাসের নিজস্ব কিছু জীন ছেঁটে ফেলেছেন আর ওর মধ্যে কোরোনাভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনের জীন ঢুকিয়ে দিয়েছেন। ফলস্বরূপ, এ আর আমাদের শরীরে ঢুকে নিজের বংশ বৃদ্ধি করতে পারবে না, কিন্তু স্পাইক প্রোটিন তৈরী করতে পারবে। কি লাভ? ওই স্পাইক প্রোটিনকে চিনে রাখবে আমাদের শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ব্যবস্থা। আসল ভাইরাস যদি কোনোদিন ঢোকে তখন জটায়ুর ভাষায়, 'ঠাঁই ঠাঁই ঠাঁই ঠাঁই ঠাঁই'! তবে বললেই তো হবে না।  টেস্ট করতে হবে।
কি পরীক্ষা-নিরীক্ষা হল ? 
  •  অক্সফোর্ডে প্রথমে রিসাস বাঁদরদের ওপর পরীক্ষা করে দেখা গেছে ভাল আন্টিবডি তৈরী হচ্ছে। তাই এবার মানুষ। এপ্রিল আর মে  মাসে লন্ডন, অক্সফোর্ড, সাদামটন, ব্রিস্টল আর ওয়েস্টন এই পাঁচ শহরের হসপিটালে সব মিলিয়ে ১০৭৭ স্বেচ্ছাসেবকের ওপরে পরীক্ষা করা হয়েছে। এঁদের বয়েস ১৮ থেকে ৫৫র মধ্যে (গড় বয়েস ৩৫), নারী পুরুষ ৫০: ৫০ এবং প্রায় সবাই শেতাঙ্গ। 
  • ৫৪৩জনকে এই নতুন ভ্যাকসিন ইনজেক্ট করা হয়েছে। এর মধ্যে আবার প্রথম ইনজেকশন দেবার ২৮দিন পরে ওই ৫৪৩র মধ্যে থেকে বাছাই ১০জনকে একটা বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়।  
  • আর অন্য  ৫৩৪জনকে একটি পুরোনো মেনিনজকক্কাস ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞানের পরিভাষায় এই দ্বিতীয় দলকে (৫৩৪) বলে 'কন্ট্রোল গ্রূপ' . নতুন ভ্যাকসিনের প্রভাব ঠিক কি কি সেটা বুঝতে এই কন্ট্রোল গ্রূপ অত্যন্ত গুরুত্তপূর্ণ। 
  • পৃথিবীর অন্য প্রান্তে ক্যানসাইনো'র বিজ্ঞানীরা মার্চ মাসে অল্প সংখ্যক লোকের ওপর প্রথম পর্যায়ের টেস্ট করেছিলেন। ফলাফল সন্তোষজনক হওয়াতে এবার  ৫০০র ওপর সুস্থ ভলান্টিয়ারকে ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে। এঁরা সবাই চীনা, উহান প্রদেশের বাসিন্দা, বয়েস ১৮র ওপরে এবং আগে এঁদের কারুর করোনা ইনফেকশন হয়নি।    
  • ভলান্টিয়ারদের তিন ভাগে ভাগ করে ২৫৩জনকে কম ডোজের টিকা, ১২৯জনকে বেশি ডোজের টিকা এবং ১২৬জনকে প্লাসিবো (এমন এক সলুশন যাতে নির্জীব ভাইরাস ছাড়া টিকার সব উপাদান আছে ) দেওয়া হয়।  
  • দুই ক্ষেত্রেই ১৪, ২৮ ও অন্যান্য দিনের মাথায় পরীক্ষা করা হয় শরীরে এন্টিবডি কেমন তৈরী হচ্ছে আর T cell activation হল কি না।  কোন সাইড এফেক্ট হল কি না তাও নজরে রাখা হয়।
ফলাফল - ১ : পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে ? 
  • দুক্ষেত্রেই দেখা গেছে ভ্যাকসিন দেবার পরে কারুর কোন গুরুতর বাজে সাইড এফেক্ট নেই।অক্সফোর্ড জানিয়েছে যে অনেকেরই গা-হাত-পা ব্যাথা হয়েছে, গা ম্যাজম্যাজ করেছে, জ্বর-জ্বর লেগেছে, মাথা ধরেছে , কিন্তু আর তেমন কিছুই না, আর সে সব প্যারাসিটামল দিলেই সেরে যায়। ক্যানসাইনো'র গবেষণা জানিয়েছে যে গা ব্যথা ছাড়া বেশি ডোজ টিকা দেওয়া কিছু ভলান্টিয়ারের  জ্বর এসেছিল, তবে তা ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই ঠিক হয়ে যায়।  
ফলাফল - ২ : ভ্যাকসিন কি কাজ করছে ? 
  • টিকা দেবার পরে ELISA ও অন্যান্য পরীক্ষা করা হয়েছে কোরোনাভাইরাস-বিরোধী এন্টিবডি তৈরী হল কি না।  এবং আনন্দের কথা, দেখা গেছে সবারই ভাল এন্টিবডি তৈরী হচ্ছে। যাঁরা একবার ইনজেকশন পেয়েছিলেন তাঁদের শরীরে ভাল পরিমান এন্টিবডি তৈরী হয়েছে।আর যাঁরা বুস্টার পেয়েছিলেন তাঁদের ৫ গুন্ বেশি এন্টিবডি তৈরী হয়েছে। এই সাফল্য অনসীকার্য। 
  • দুই গবেষণাই অন্য একটি রেসাল্ট'র দিকে দৃষ্টিপাত করতে চেয়েছে। এন্টিবডি জিনিসটার গুরুত্ব অনেকেই জানেন, কিন্তু রোগ প্রতিরোধে এন্টিবডির দোসর T cellর কথা ডাক্তারি ও বৈজ্ঞানিক মহলেই সীমাবদ্ধ। অথচ, এন্টিবডি তৈরী আর T cell activation হল আমাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার বাঁয়া-ডায়া ; আর যে কোন ভাইরাসকে পরাস্ত করতে তো T cell বিশেষ প্রয়োজনীয়।বেশি ডিটেলে যাব না, কিন্তু T cell -বিহীন রোগ-প্রতিরোধ ব্যবস্থা হল অনেকটা ড্রাইভার-ছাড়া গাড়ি (এইডস রোগে এই T cell  ধ্বংস হয় , আর ফল কি নিশ্চয়ই সবাই জানেন). 
  • ELISPOT assay (কিছুটা ELISAর মত পরীক্ষা, কিন্তু তফাৎ আছে) করে ইংরেজ ও চীনা দুই গবেষক দল জানিয়েছেন যে এই নতুন ভ্যাকসিন T cellদেরও চাঙ্গা করে তুলছে।  এটা একটা বড় খবর এবং এই গবেষণার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সাফল্য বললে ভুল হবে না।  

  • ব্যাস ! মোটামুটি এই আর কি। অক্সফোর্ড দল নিজেরাই জানিয়েছেন যে ১০০০ জন সাদা চামড়ার ব্রিটিশ তো পরীক্ষার জন্যে যথেষ্ট নয়।  আরো অনেক অনেক লোকের ওপর - বয়স্ক, কিছু অসুখ আগে থেকেই আছে , নানা দেশের নানা গোষ্ঠীর মানুষের ওপর এই সব পরীক্ষা আরো চলবে। সেই জন্যে এর মধ্যেই ইংল্যান্ড তো বটেই, ব্রাজিল আর দক্ষিণ আফ্রিকায় - দুটি দেশেই ভয়ানক মহামারী চলছে - কাজ শুরু হয়ে গেছে। আর  প্রাপ্তবয়স্কদের ওপর ঠিকঠাক হলে তখন বাচ্ছাদের ওপর টেস্ট করতে হবে।  
  • ক্যানসাইনো ও জানাচ্ছেন যে শুধু চীনা লোকের ওপর পরীক্ষা যথেষ্ট নয়। বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর ওপর পরীক্ষা প্রয়োজন এবং সেটা দীর্ঘকালীন হলেই তবে লঙ টার্ম ইমিউনিটি হল কি না , এবং অন্য কোন উপসর্গ দেখা দিল কি না বোঝা সম্ভব। সেই সব নিয়ে কিছুটা অগ্রগতি হলে তবেই বাচ্ছাদের ওপরে পরীক্ষা হবে।  
  • শুধু তাই না, ক্যানসাইনো'র বিজ্ঞানীরা লক্ষ্য করেছেন যে যদি কোন মানুষের আগে কোন এডিনোভাইরাস সংক্রমণ হয়ে থাকে তাহলে তাদের শরীরে এই ভ্যাকসিন কিছুটা কম শক্তিশালী। এন্টিবডি তৈরী হয়, কিন্তু এডিনোভাইরাস সংক্রমণ কোনোদিন হয়নি এমন লোকের থেকে কিছুটা কম।  এই ব্যাপারটা গুরুত্বপূর্ণ কারন এডিনোভাইরাস সংক্রমণ আমাদের সবারই কম বেশি হয় (প্রচুর এডিনোভাইরাস আছে আকাশে বাতাসে - জ্বর গলা ব্যাথা বা খুশখুশ, পেট খারাপ কত অসুখ নানা এডিনোভাইরাস থেকে হয়, নতুন কিছু না।  সম্ভবত সেই জন্যেই আমাদের শরীর আগে থেকেই এডিনোভাইরাসকে চিনে রেখেছে, এবং এবার এই টিকা দিতে তাকে বন্ধু-নয়-শত্রু ভেবে কিছুটা নিকেশ করে দিয়েছে। এই same-side goal ব্যাপারটা বিজ্ঞানীদের দেখতে হবে।  
ভ্যাকসিন কবে? 
  • নিজেদের ধান্দায় আসি - ভ্যাকসিন কবে পাব? এ বছরের শেষে হয়ত কিছু অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন তৈরী হয়ে ডাক্তার, স্বাস্থ কর্মী এঁদের দেওয়া হবে।তবে, সবার জন্যে আসতে আসতে সামনের বছর। পুনের সেরাম ইনস্টিটিউট অক্সফোর্ডের ভারতীয় পার্টনার। এর মধ্যেই কাজ শুরু করেছেন।ক্যানসাইনো'র টিকা সম্ভবত তাই করবে, তবে চীনা সেনাবাহিনী এই ভ্যাক্সিনকে 'বিশেষ প্রয়োজনীয় ওষুধ' নাম দিয়েছে, এবং হয়ত এ বছরেই চীনা সৈন্যদের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হবে। 
  • এছাড়া,  ব্যবসারও তো ব্যাপার। আজকেই যেমন Astrazeneca আর Modernaর শেয়ার উঠল- নামল। 
  • মনে রাখা আবশ্যক, এখনো কিন্তু কেউ এই সব টিকা দেওয়া ভলান্টিয়ারদের শরীরে আসল কোরোনাভাইরাস দিয়ে দেখেননি আসল রোগ প্রতিরোধ হয় কি না।  সেটা বেশ আলাদা ধরণের challenger পরীক্ষা এবং করা নিয়ে অনেক আইনত এবং নীতিগত বাধা আছে।  দেখা যাক কি হয়।  কিন্তু সময় তো লাগবেই।  বিজ্ঞান তো ম্যাজিকও নয়, তুকতাকও নয়; হড়বড় করলে হিতে বিপরীত হবে ।  
=============== ================== =================== ============

টিকা তো আজ না হয় কাল না হয় সামনের বছর আসবে।  ১০০% না হোক, ভালোই কাজ করবে বলে বিশ্বাস। তবে এখন সবাইকে ভাল করে মাস্ক পড়তেই হবে।  ভাল করে জামা প্যান্ট কাপড় টি শার্ট পড়ে বাড়ি থেকে বেরোন তো? তাহলে ঠিক করে মাস্ক পড়তে অসুবিধে কোথায়? 
মাস্ক প্রসঙ্গে একটা ঘটনা বলি - বিখ্যাত খবরের কাগজ নিউ ইয়র্ক টাইমস একটি প্রাসঙ্গিক রিপোর্ট দিয়েছে।  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে'র  মিসৌরী রাজ্যের স্প্রিংফিল্ড শহরে মে মাসে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা খুবই কম ছিল।  তাই , একটি সেলুনে কর্মরত দুই মহিলা হেয়ারড্রেসার ভেবেছিলেন যে তাঁদের যে হালকা কাশি আর জ্বর হয়েছে সেটা season changeর  আলার্জি থেকে।তাই দুজনেই টেস্ট করতে দিয়েছিলেন কিন্তু কাজেও যাচ্ছিলেন। দুদিন পরে যখন রিপোর্ট এল যে covid পসিটিভ দুজনেই বাড়িতে স্বেচ্ছাবন্দি হলেন, কিন্তু ততদিনে সেলুনে আসা  ১৩৯ জন খদ্দের ও ৪ জন সহকর্মী'র সঙ্গে তারা ভাল সময় কাটিয়েছেন !!! আতঙ্কিত স্প্রিংফিল্ড পৌরসভা টেস্ট করতে আরম্ভ করে এবং সবাই অবাক হয়ে দেখেন যে ওই ~১৪০ লোকজনের একজনও আক্রান্ত হননি!! এই দুর্দান্ত সাফল্যের পেছনে একটাই জিনিস আছে - মাস্ক।  দুই মহিলা, এবং ওই সেলুনে আসা সবাই, নিয়ম মেনে ভাল করে ভাল মাস্ক বেঁধেছিলেন।  করোনা ঠেকাতে মাস্ক যে কি প্রয়োজনীয় এই ঘটনা তার বড় প্রমান।  শিক্ষণীয়।  
======================================== =============================


============================= ======================


https://www.thelancet.com/journals/lancet/article/PIIS0140-6736(20)31605-6/fulltext

https://www.bbc.com/news/uk-53469839?fbclid=IwAR3IhSimn-C70kQdkPrvOrpWRnJDwaPqBlFRdegEqp6zBLwA8H7HwnM97ss

https://journosdiary.com/2020/07/20/oxford-coronavirus-vaccine-safe-immunogenic-preliminary-phase1-phase2-trial/?fbclid=IwAR0ZqGVL-SVxs-LHTqJH8bTbI2PrL-tLH_No6AnQR7CfbYM0D4hxt55sLLo

https://journosdiary.com/2020/07/20/phase-2-trial-adenovirus-covid-19-vaccine-ad5-ncov-found-safe-immunogenic/?fbclid=IwAR2whEUJFrLNARx-igPQg0cUjwlGpcIjop8a36FxnkUBleWN_lIBI_CDjnE

https://www.livemint.com/news/world/cansino-coronavirus-vaccine-shows-immune-response-in-human-trial-11595290017877.html

https://www.oxfordstudent.com/2020/05/05/exclusive-100-alive-dr-elisa-granato-first-vaccine-recipient-shares-her-experience/

No comments:

Post a Comment

 স্কুল খুলুক, সঙ্গে হাওয়া বাতাস খেলুক ক্লাসঘরে ('এই সময়' সংবাদপত্রে প্রবন্ধ -  ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২১)      সোজাসাপ্টা অপ্রিয়   সত...