Wednesday, August 12, 2020


করোনা বিজ্ঞানের খুচরো খবর - পুটিনের ভ্যাকসিন।
ব্যাপারটা ঠিক কি দাঁড়াল ? 
পুটিন-দা পারেন ও বটে।  এই গত মাসেই আমাদের এখানে কত লাফালাফি হল যে ১৫ই অগস্ট নতুন ভ্যাকসিন আসছে। রে রে পড়ে গেল। মনে আছে নিশ্চয়ই তখন সবাই - এমনকি যে বিজ্ঞানী মহল সাধারণত কোন কথাই বলেন না এমনকি তাঁরাও - প্রতিবাদ করলেন, বোঝালেন যে 'না না এভাবে হতে পারে না। এরকম তাড়াহুড়ো করে টেস্ট না করে ভ্যাকসিন ছাড়া যায় না।  ...হাত চালিয়ে  ব্যাটিং করা যেতেই পারে, কিন্তু চোখ-কান বুজে দুম-দ্বাড়াক্কা ব্যাট চালালে লং অনে ক্যাচ দেবার চান্স প্রায় অবধারিত'। তা ভাল, চাপে পড়ে বা যাই হোক সেই লাফালাফি একটু থেমেছে অমনি রাশিয়া থেকে খবর এল যে ভ্যাকসিন প্রস্তুত।
কয়েকদিন ধরেই অবশ্য এরকম খবর বাজারে চলছিল। মানে ওরা টুকটুক করে news feelers ছাড়ছিল।  গত এক সপ্তাহে অন্তত ৪ জন আমায় এটা জিজ্ঞেস করেছেন। আমি বলেছি - না সম্ভব না, এবং এখনো বলছি সম্ভব না।  মানে, বিজ্ঞানের ঠিকঠাক নিয়ম মেনে সম্ভব না, নিয়ম না মানলে, আমার-দেশ-আমার-ল্যাবরেটরি-আমার-যা-ইচ্ছে-করব করলে তো  অন্য কথা - সে তো রাজনীতির ব্যাপার, শুধু তো বিজ্ঞান নয়। ' তবে, আজ পুটিন-দা সেটা নিজে ঘোষণা করার পরে ব্যাপারটা একটা আলাদা মাত্রা পেয়েছে বইকি।
তাহলে খবরটা ঠিক কি দেখে নেওয়া  যাক।  রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুটিন নিজে জানিয়েছেন যে মস্কোর বিখ্যাত গামালেয়া ইনস্টিটিউট অফ এপিডেমিওলোজি এন্ড মাইক্রোবায়োলোজি যে করোনাবিরোধী ভ্যাকসিন তৈরী করছিল সেগুলি এখন পরীক্ষিত,  রোগ প্রতিরোধে সফল , নিরাপদ এবং তাই তিনি এটি অনুমোদন করছেন - এবার প্রোডাকশন অনেক বাড়ানো হবে , অক্টবর মাস নাগাদ এই টিকা রাশিয়ার সাধারণ মানুষ ব্যবহার করতে পারবেন, বিদেশেও রপ্তানি হবে। রুশ আধিকারিকরা জানাচ্ছেন অন্তত ২০টি দেশ এই ভ্যাকসিন চেয়েছে।
ভ্যাকসিন যে নিরাপদ সেটা বোঝাবার জন্যে পুটিন জানিয়েছেন যে তাঁর নিজের মেয়ে এই ভ্যাকসিন পরীক্ষার একজন ভলিন্টিয়ার হয়েছিলেন, এবং সে ভালোই আছে।
ভ্যাকসিনটা সম্পর্কে একটু বলে দিই।গবেষণার সময় এর কোড নাম ছিল Gam-Covid-Vac-Lyo।  এখন পোশাকি নাম  'স্পুটনিক ভি'।   দুটি সাধারণ ঠান্ডা লাগা (common cold) ভাইরাস Adenovirus Ad5 এবং Adenovirus Ad26র মধ্যে নতুন কোরোনাভাইরাসের জীন ঢুকিয়ে এই ভ্যাকসিন তৈরী করার চেষ্টা হয়েছে। গত মাসে যে দুটি ভ্যাকসিন নিয়ে খুব আলোচনা হল Oxford/AstraZeneca এবং Cansino তারাও মোটামুটি একই পদ্ধতিতে গবেষণা করেছেন।
তাহলে অসুবিধেটা কি? সমস্যা হল - যে কোন ভ্যাকসিন তৈরির কয়েকটা সুনির্দিষ্ট পর্যায়  থাকে। যাকে বলা হয় phase 1 , phase 2, phase 3....সেগুলো ঠিকঠাক বিজ্ঞানসম্মত ভাবে অতিক্রান্ত করলে,  এবং সব ফলাফল নিজে পর্যালোচনা করে সেই রেসাল্ট কোন প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞানের জার্নালে পাঠাতে হয়। সেই জার্নালের সম্পাদক তখন ওই বিষয়ের অন্য এক্সপার্টদের অনুরোধ করেন, 'এই ফলাফল অমুক ল্যাবরেটরি থেকে এসেছে। আপনারা নিজে থেকে দেখুন যা পাঠিয়েছে সেসব ঠিক তো, বৈজ্ঞানিক যুক্তি আছে তো, হিসেবে সব মিলছে তো'; একে বলে peer review বা ওই বিষয়ের জ্ঞানী ব্যক্তিকে দিয়ে মূল্যায়ন করা। সাধারণত দুই বা তিনজন রিভিউ করেন, তাঁদের মতামত জানান। হয়ত বললেন,  'দেখেছি, ঠিক আছে। লজিক আছে, গুল-তাপ্পি মারেনি।  আপনি নিশ্চিন্তে পাবলিশ করতে পারেন।', অথবা বললেন, 'না, আরো এক্সপেরিমেন্ট করতে হবে, রেসাল্ট আছে তবে আরো প্রমান চাই' . তখন সম্পাদক জানিয়ে দেবেন সেই কথা।  মোদ্দা কথা - আপনি যে বৈজ্ঞানিক ভাবে ঠিক বলছেন তার প্রমান দিন, আরো অনেকে দেখবে, তবে সেটা গ্রহণ করা হবে। আপনি যতই বড় হনু হন শুধু মুখের কথা, বিশ্বাস অবিশ্বাস দিয়ে কাজ চলবে না, গবেষণার ফল দেখতে চাই।  এই ভাবে সারা পৃথিবীতে সব বিজ্ঞানী কাজ করেন।
কিন্তু এত নতুন গবেষণা ? এক্সপার্ট জানছেন কি করে ঠিক কি ভুল? উপমা দিলে - গাভস্কারকে কি মাঠে নেমে টি-২০ খেলে বুঝতে হয় খেলাটার মূল গতিপ্রকৃতি, ঠিক ভুল কি হচ্ছে? না শ্রীকান্ত আচার্য যখন গানের কম্পিটিশনের জজ হন তখন উনি হিন্দি গান নিয়ে সুচিন্তিত মতামত দেন না? জ্ঞান, অভিজ্ঞতা থেকে ধাঁচ গতিপ্রকৃতি বোঝা যায়। এখানেও একই ব্যাপার।
তবে এতে কি ভুল হবার সম্ভবনা নেই? নিশ্চই আছে; বিজ্ঞানীরাও তো মানুষ। ভুল হতে পারে, পরে আরো ভাল গবেষণা হতে পারে এবং তখন আগের রেসাল্ট কিছুটা পাল্টে যেতে পারে, আবার 'তুই আমার পেপার দেখে দিস আমিও তোরটা নিয়ে বেশি চুলকোবো না' সেসব তো হতে পারে। তবে, ঠিক যেমন কেউ শুধু সিলেক্টরের সাপোর্ট পেয়ে বছরের পর বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বা ফুটবল খেলতে পারে না, এখানেও তাই।  The scientific process is not 100% efficient, but it is certainly the most efficient of human processes. ভুল ভাল বকলে ধরা পড়বেই। বিজ্ঞানের এই পথ কঠোর ভাবে সত্যনিষ্ঠার পথ।  এখনো। 
ভ্যাকসিনের কথায় ফিরে আসি।  ভ্যাকসিন গবেষণার ক্ষেত্রে তাহলে বোঝাই যাচ্ছে ওই  phase1-3র ফলাফল রিভিউআররা দেখতে চাইবেন। তবেই  জার্নালে ছাপা হবে -  ঠিক যেমন Oxford/AstraZeneca এবং Cansinoর ভ্যাকসিন গবেষণা বিখ্যাত ল্যানসেট পত্রিকায় হয়েছিল। প্রথম দুই পর্যায়ের রেসাল্ট সারা পৃথিবী দিয়ে পাশ করিয়ে তবে তাঁরা জানিয়েছেন যে তৃতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হয়েছে/হচ্ছে। গামালেয়া'র ক্ষেত্রে মুশকিল হচ্ছে সেই সব কোন তথ্য নেই।
রুশ রেসাল্ট যে নেই বলছি কেন?
১. কারন কোন জার্নালে বেরোয়নি, বেরোলে তো জানা যেত।
২. এই স্ক্রিনশট-টা দেখুন। বিখ্যাত বিজ্ঞান লেখক কার্ল জিমার গত কয়েক মাস ধরে নিউ ইয়র্ক টাইমস সংবাদপত্রে ভ্যাকসিন আপডেট দিচ্ছেন। কোন ভ্যাকসিন গবেষণার কি পর্যায়ে তা জানার জন্যে এ বেশ নির্ভরযোগ্য  সোর্স। সেখানে কি লেখা আছে দেখুন।রুশ ভ্যাকসিন  জুন মাসে মাত্র প্রথম পর্যায়ের কাজ শুরু হয়েছে। জুলাই মাসেও রুশ পার্লামেন্ট আশা করেছিল যে এই বছরের শেষ নাগাদ ভ্যাকসিন তৈরী শুরু হবে, কিন্তু ১০ই অগস্ট পুটিন জানিয়েছেন যে তিনি অনুমোদন করেছেন।  জিমার জানাতে ভোলেননি যে গুরুত্বপূর্ন তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল এখনো বাকি।  কি বুঝলেন?
৩. শুধু জিমার নন, কোন ভ্যাকসিন কি পর্যায়ে কাজ চলছে সেটা WHO একটি টেবিল করে বুঝিয়ে দেয়।  এই যে, সেই টেবিলের কিছুটা অংশ কাট-পেস্ট করে দিলাম। দেখছেন , একই ব্যাপার। গামলায়ার টিকা  phase 1/2র বেশি এগিয়েছে বলে দু দিন আগে পর্যন্ত কোন আপডেট নেই।

৪. আর ওই টেবিল থেকেই রুশ ভ্যাকসিনের অন্দরমহলে পৌঁছে যাওয়া যায়। এবং সেখানেও দেখুন শেষ অবধি ওরা নিজেরাই যা জানিয়েছেন তা হল গবেষণা হয়েছে phase 1/2অবধি। phase 3র কোন উল্লেখ নেই।  সব মিলিয়ে পরীক্ষা হয়েছে ৩৮র জনের ওপর -  আর সেই পরীক্ষা শেষ হবার তারিখ ধরা হয়েছিল ১৫ই অগস্ট। 

৫. সবচেয়ে বড় কথা।  এই ভ্যাকসিনের জন্যে রুশীরা নিজেরাই একটি ওয়েবসাইট বানিয়েছেন।এবং তাঁদের ওয়েবসাইট বলছে যে ৩৮ জন ভলিউনটিয়ারের ওপর phase 1 and phase 2 পরীক্ষা ১লা অগস্ট সফল ভাবে শেষ হয়েছে।  , কিন্তু তারপর যে phase 3 হাজার হাজার লোকের ওপর নানা ভাবে এবং বেশ কয়েকমাস বা বছর ধরে পরীক্ষা হবার কথা তা ১২ই অগস্ট থেকে শুরু হবার কথা।   অথচ এর মধ্যে দুম করে উনি টিভিতে বসে বলে দিলেন 'সব রেডি - আমার মেয়েকে দিয়েছি, তার মানে সব সেফ' - যাববাবা  !

Summarize করলে কি দেখা যায়? 
 ১. রুশ ভ্যাকসিন প্রথম দুই পর্যায় মাত্র শেষ করেছে বলে জানিয়েছেন। তৃতীয় পর্যায় শেষ করা তো ভুলেই যান,  সেটা  যে ১২ই অগস্ট থেকে শুরু হচ্ছে তা তারা নিজেরাই জানিয়েছেন।
২।  প্রথম পর্যায়ের ফলাফল তারা কোন জার্নালে প্রিভিউ করতে এখনো পাঠায়নি।
৩।  মাত্র ৩৮জন ভলান্টিয়ার নিয়ে পরীক্ষা হয়েছে। সমপর্যায়ের অক্সফোর্ড/অস্ট্রজেনেকা এবং ক্যান সাইনো ভ্যাকসিন পরীক্ষা হয়েছিল ~১১০০ ও ~৬০০ জনের ওপর।

তাহলে কি দাঁড়াল ? শেষ হল কি হল না, রেসাল্ট সব ভাল করে দেখা হল কি না , লং টার্ম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কি জানা হল না,  বয়স্ক লোকজন, হার্টের রুগী, ডায়াবেটিক, যাঁদের প্রেসার কিডনি ইত্যাদির সমস্যা আছে তাদের টিকা দিলে কেমন থাকবেন  জানা হল না, বাচ্ছাদের ওপর কি রেসাল্ট দেখা হল না!  মাত্র ৩৮জন লোকের ওপর গবেষণা করে , phase3  না করে উনি  'এই দেখ আমার মেয়ে দিব্যি আছে' বলে গ্যাস মেরে দিলেন? আরে পুটিনের মেয়ে হোক কি ট্রাম্পের মেয়ে কি ওবামার -  সেও তো একজন মাত্র মানুষ। তার বেশি তো কিছু না। আর একজন মানুষ, তিনি যেই হন, তিনি  তো একা ২০০০ মানুষের phase 3র  রেসাল্ট দিতে পারবেন না।তাই বলছি, ওটা জাস্ট সুড়সুড়ি। লোকে খাবে।  সব রুশ বাবা-মা (এবং সারা পৃথিবীর বহু বাবা-মা - ওই যে ২০টা দেশে রুশ ভ্যাকসিন যাবে) ভাববেন 'আহা , নিজের মেয়েকে এগিয়ে দিয়েছে। তার মানে সব ঠিক আছে।' এটা ঠিক পুটিন বাবা হিসেবে যা করেছেন সেটা খারাপ  বলছি না , এক দিক দিয়ে প্রশংসনীয় এবং অনেক বাবা মা'ই করবেন না।  তবে সেটা তো আর  সিরিয়াস  বৈজ্ঞানিক পরীক্ষানিরীক্ষা পাশ কাটাতে পারে না।এই কথাটা ভুললে চলবে না।   ( আচ্ছা একটা কথা।  পুটিনের মেয়ে।  কোন মেয়ে? পুটিনের তো দুই কন্যা  - মারিয়া আর য়েক্যাটরিনা।  কোনজন টিকা নিয়েছেন সেটা সংবাদ সংস্থা বলেনি।)
তার মানে কি এই ভ্যাকসিন কাজ করবে না? না , এমন কোন কথা নেই।  সত্যি বলতে কি, আজকের দিনে ভ্যাকসিন জিনিসটা বানানো যে খুব জটিল তা না।  সেটা কতটা ভাল কাজ করবে (মানে সংক্রমণ আটকাবে) আর বাজে সাঈড এফেক্ট হবে কি না সেটাই ভাল করে পরীক্ষা করতে হয়। সেখানেই সময় লাগে। আজকের দিনে এমন কোন ভ্যাকসিন হয় না যেটা একদম ফেল মেরে যাবে, আর সবার মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবে।  আর গামালায়া তো বহুদিনের অভিজ্ঞতা-সম্পন্ন প্রতিষ্ঠান।  সুতরাং, এত কিছু বলার পরে ও বলছি যে এই রুশ ভ্যাকসিন দুর্দান্ত না হলেও বেশ কিছুটা কাজ করবে। এবং খুব সম্ভবত ওরা টিকাকরণ আর তার ফলাফল কি হয় সেটা পাশাপাশি দেখতে থাকবেন। তবে, ওই যে - এইভাবে হড়বড় করা বিজ্ঞানসম্মত নয়।অনেকটা সাধারণ মানুষকে গিনিপিগ করার মত ।
পুতিন এটা কেন করলেন? একজন সাংবাদিক বন্ধুকে একটু আগে জিজ্ঞেস করলাম - পুটিনের ওপর কি রাশিয়ার ভেতরে খুব চাপ চলছে? লোকজন খুব বেশি অসুন্তুষ্ট। উনি বললেন (এবং আমিও মোটামুটি তাই জানি ) যে ছোটখাট সমস্যা আছে, রাশিয়ায় অনেক লোক করোনা -আক্রান্ত হয়েছেন, কিন্তু পুটিন রাজনৈতিক ভাবে খুবই পরাক্রমশালী। এমন কিছু চাপে নেই।  তাহলে? তাহলে একটাই উত্তর হয়।  উনি সারা পৃথিবীকে দেখাতে চাইছেন - দেখ, কি তোমরা অক্সফোর্ড অক্সফোর্ড , আমেরিকা আমেরিকা , চীন চীন করছ ? সবার আগে আমরা।  আর সম্ভবত এই জন্যেই ভ্যাকসিনের নাম দিয়েছেন স্পুটনিক। মনে আছে নিশ্চই ১৯৫৭ সালে মহাকাশে যাত্রা করা  প্রথম স্যাটেলাইট ছিল  সোভিয়েত  ইউনিয়নের 'স্পুটনিক'.  আমাদের স্কুলের পরীক্ষায় সেই যে কোশ্চেন আসতো -  'নামকরণের স্বার্থকতা', সেই ব্যাপার।

আমাদের কি? তেমন কিছু মনে হয় না। তেমন কোন ডাইরেক্ট খবর নেই। তবে বহুদিনের বন্ধু দেশ রাশিয়ার থেকে কিছু ভ্যাকসিন হয়ত আসবে (এই তো কয়েকদিন আগে কিসব অস্ত্র কেনা হল, চীনের সঙ্গে কথা বলা নিয়ে রাশিয়া মধ্যস্ততা করল।  এইসব সম্পর্ক এভাবেই থাকে)  তবে সে যাই হোক,  যেটা নিয়ে একটা খেয়াল রাখতে হবে - আমাদের দেশে যা ভ্যাকসিন ছাড়া হবে সেটা যেন একদম নিয়ম মেনে ভাল করে পরীক্ষা করেই হয়। Phase 3তে যেন কোন তাড়াহুড়ো ঢিলেমি না থাকে।  'ফাটিয়ে দেব' 'সবাইকে দেখিয়ে দেব, তাক লাগিয়ে দেব' ওসব সিনেমায় হয়, চিকিৎসা বিজ্ঞানে হলে কেলেঙ্কারির চান্স খুব বেশি। একেই গবেষণা অত্যন্ত দ্রুত চলছে। কিন্তু সব কিছুর একটা লিমিট আছে - একজন মহিলার একটি সন্তানকে জন্ম দিতে ৯ মাস লাগবে।  সেটাই স্বাভাবিক, এবং আর কোন রাস্তা নেই।  ওই কাজটা একসঙ্গে ৯জন মহিলা ১ মাস ১ মাস করে parallel করে সময় বাঁচাতে পারবেন না।

রেফারেন্স :
https://www.nytimes.com/interactive/2020/science/coronavirus-vaccine-tracker.html
https://www.who.int/publications/m/item/draft-landscape-of-covid-19-candidate-vaccines
https://clinicaltrials.gov/ct2/show/NCT04437875?term=vaccine&cond=covid-19&draw=4
https://tass.com/society/1188313

https://sputnikvaccine.com/about-vaccine/clinical-trials/
https://www.reuters.com/article/us-health-coronavirus-russia-vaccine-spu-idUSKCN2571FV?fbclid=IwAR0n_Cbnif6aLq1xDiyI11DyvpE4I9CAMnvpcmtztaqCon0tWCSet_Cl-aI


1 comment:

  1. Khub sundar likhechen Mr Anirban.
    Amio ekmot eai Russiar vaccine kintu kichuta kaj korbe bole mone hoechhe.
    Amar mone hoechhe china o kintu eai vaccine er pechone ache.

    Jodi putin success hoi, tar mane je 20 ta country oder koreche, okhane jodi success hoi tahole Trump , Modi era kintu chape pore jabe.
    UK er vaccine ( jeta India te serum Institute) korche ota aste mone hoi next year Jan- Feb hobe.
    Tai Sputinic V ekon Bhorsa.

    ReplyDelete

 স্কুল খুলুক, সঙ্গে হাওয়া বাতাস খেলুক ক্লাসঘরে ('এই সময়' সংবাদপত্রে প্রবন্ধ -  ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২১)      সোজাসাপ্টা অপ্রিয়   সত...